ডুয়ার্স, ১১ মার্চ: একটা চমচম কিনলে বাড়ির সবাই খেতে পারবেন।
অবাক আর অবিশ্বাস্য হওয়ার কিছুই নেই। বাস্তবে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে এমনিই পেল্লাই সাইজের চমচম বিক্রি হচ্ছে মিষ্টির দোকানে। কম করে হলেও একটি চমচমের ওজন আধা কেজি পার হয়ে যাবে।
বেড়াতে আসা ডুয়ার্সের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এই চমচম তৈরি করা হচ্ছে। বলা যেতে পারে বিশেষ চমক। এক দোকানদার ওজন করে দেখছেন তার চমচমের ওজন ৬০০ গ্রাম। যেটাকে ফ্যামিলি প্যাক চমচম বলছেন তিনি।
জানাগেছে, ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন লাটাগুড়িতে মিলছে সুস্বাদু এই চমচম। ইতিমধ্যেই যা খাওয়ার জন্য অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাঝে মধ্যে লাটাগুড়িতে চলে আসছেনন।
এছাড়া বাইরের পর্যটকরা তো রয়েছেনই। চাপড়ামারি ও পার্শ্ববর্তী ডুয়ার্স এলাকায় প্রতিদিনই বেড়াতে আসেন অসংখ্য পর্যটক। মূলত লাটাগুড়িকে কেন্দ্র করেই বেড়াতে আসেন বেশিরভাগ মানুষ। তাদের জন্যই এই জাম্বো সাইজের চমচম তৈরি করা হচ্ছে লাটাগুড়িতে। ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নাম দেওয়া হয়েছে ফ্যামিলি প্যাক চমচম। গোটা উত্তরবঙ্গের মধ্যে চমচমের জন্য বরাবরই বিশেষ স্থান রয়েছে জলপাইগুড়ির বেলাকোবা। অতুলনীয় স্বাদের জন্য এখানকার চমচম বাইরের মানুষদের কাছেও একটি বিশেষ জায়গা দখল করে রেখেছে।
এবার তবে এই সবকিছুকেই যেন ছাপিয়ে গেছে লাটাগুড়ির জাম্বো সাইজের চমচম। ডুয়ার্সের পর্যটন অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাতে লাটাগুড়ির বিভিন্ন দোকানে দেখা যাচ্ছে এই ফ্যামিলি প্যাক চমচম।
স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা প্রথম এই বিগ সাইজের চমচম তৈরি করেন। জানাগেছে, কাজু, কিসমিস সহ অনেক কিছু রয়েছে এই চমচমে। লাটাগুড়ি ও গরুমারায় আসা পর্যটকদের মন জয় করার জন্যই মূলত বিশাল আকৃতির এই চমচম তৈরি করছেন তারা। দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনই সুস্বাদু। এই চমচম খেতেই অনেক সময় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে লাটাগুড়িতে। অনেক দূর দূরান্তের মানুষ আসেন এই ফ্যামিলি প্যাক চমচমের টানে। তবে একটি গোটা চমচম একা খাওয়া সবার পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
তাই পরিবারের সকলে মিলে ভাগ করে খেতে হয় এই চমচম। তবে যারা মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন তারা অবশ্যই একটি গোটা চমচম খেয়ে নিতে পারেন। একটি চমচম লম্বায় প্রায় সাত ইঞ্চি। ওজন প্রায় সাড়ে ৬০০ গ্রামের মতো। দাম মাত্র ৫০ টাকা থেকে শুরু।