ফুলবাড়ি, ৯ ডিসেম্বর: এর আগে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয় ফুলবাড়ি পশ্চিম ধনতলায় মহানন্দা নদীতে পাড় বাঁধ করার বিষয়ে। কারণ বহু বছর আগে একটি বাঁধ তৈরি হয়েছিল। সেটি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অন্য অংশে এখনো হয়নি বাঁধ। এই বাঁধ মিশে যাওয়ার কথা তিস্তা লিংক ক্যানেলের লক গেটের কাছে। অথচ সেই কাজ বছরের-পর-বছর পড়ে রয়েছে। ওই অংশ দিয়ে বর্ষার সময় গ্রামে ঢুকে পড়ে নদীর জল। প্লাবিত হয়। আতঙ্কে থাকেন বাসিন্দারা। এর পাশাপাশি আরও সমস্যা সেই সব জায়গা দখল হয়ে গেছে। সরকারি জায়গা এখানে বেদখল করে বিক্রি হয়ে গেছে। অধিকৃত সেই জায়গা রক্ষার পাশাপাশি এই বাঁধের প্রয়োজন বলে জানানো হয় একটা বিশিষ্ট মহল থেকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে বাঁধ প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি প্রকল্প করতে গেলে অধিগৃহীত জায়গা প্রয়োজন পড়ে। অথচ এখানে নির্দিষ্টভাবে বাঁধ না দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। সেই জায়গা শুধু দখলই নয়, যে বাঁধ করা হয়েছে তা সংস্কার করা হয়নি। তাই এদিন সেচ দপ্তরের কর্তারা আসেন। ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশিস প্রামানিক, ফুলবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায়, উপ প্রধান বদিউল আলম রাফি সহ বিশিষ্টজনেরা। পর্যটনমন্ত্রীর আগের সেই বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা বলেন, অতিসত্বর এখানে বাঁধ দেওয়া দরকার এবং বাঁধ সংস্কার করা দরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সেচ দফতরের কর্তারা আসেন। ছিলেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং জেলা পরিষদের সদস্য। তারা দেখে যান বাঁধের প্রয়োজনীয়তা এবং এ দেখেই একটি রিপোর্ট দেবেন যাতে সেচ দপ্তর এখানে বাঁধের কাজ করতে পারে। এদিন সেচ দপ্তরে কর্তারা বলেন, এখানে যেভাবে জায়গা পাব বাঁধ করব। প্রস্তাবিত জায়গাতেই বাঁধ করতে সমস্যা নেই। তাই এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে জায়গা ছাড়ার ব্যাপারে। কোন দিক দিয়ে কিভাবে বাঁধ হবে তা জানিয়ে দিলে আমরা করে দিতে পারব। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশীষ প্রামাণিক বলেন, “আমরা চাইছি ফুলবাড়িকে সাজাতে। এখানে বাঁধের কাজ এখনো সম্পূর্ন হয়নি।কিছুটা কাজ হওয়ার পর অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই বাঁধের কাজ সংস্কার করার প্রস্তাব মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল। এবার আশাকরি সেচ দপ্তরের কর্তারা দেখে গেলেন এবার কাজ শুরু হবে।”