ফায়ার লাইসেন্সের জন্য নতুন চমক মুখ্যমন্ত্রীর

শিলিগুড়ি, ২৯ ফেব্রুয়ারি: শিলিগুড়িতে পুর নির্বাচন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন চমক। উত্তরবঙ্গের স্টেক হোল্ডারদের এনওসি বা ফায়ার লাইসেন্স পেতে আর যেতে হবে না কলকাতায়। এবার শিলিগুড়ি শহর থেকেই এই পরিসেবা পাবে শহরবাসীরা। আগে হাই পাওয়ার কমিটি ছিল কলকাতায়। হাই রিস্ক বিল্ডিংয়ের এনওসি পাওয়ার জন্য কলকাতায় আবেদন করতে হত। এর ফলে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় হত শহরবাসীদের। মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে ব্যবসায়ীদের সাথে মিটিং করার সময় ব্যবসায়ীরা এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা মূখ্যমন্ত্রীর কাছে শিলিগুড়িতে হাই পাওয়ার কমিটির আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনে সারা দিয়ে তিনমাসের মধ্যেই উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা টেকনিক্যাল কমিটি তৈরী করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির এসএফ রোডে সিদ্দি বিনায়ক হলে উচ্চ পদস্থ দমকল আধিকারিকদের সাথে শিলিগুড়ির স্টেক হোল্ডার, ব্যবসায়ী সংগঠন, হোটেল, প্রমোটার, আর্কিটেক্ট অ্যাসোসিয়েশানের, ইঞ্জিনিয়ার কমিটিদের সাথে একটি মিটিং হয়। এই মিটিংয়ে নতুন এই কমিটিতে কিভাবে সকলকে আবেদন করতে হবে ও কিভাবে এর প্রকৃয়া হবে সেই সমস্ত বিষয়ে অবহিত করা হয়। নর্থ বেঙ্গলের ডেপুটি ডাইরেক্টর তথা নতুন টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান অভিজিৎ পান্ডে বলেন, মূখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় শিলিগুড়ির স্টেক হোল্ডারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নতুন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটি তৈরী করা হল। এই কমিটিতে রয়েছে ছয়জন সদস্য।
এদিন মিটিংয়ে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ফায়ার লাইসেন্সে পাওয়ার ক্ষেত্রে সরলিকরন করার কথা জানানো হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান সকলের উদ্দেশ্য জানান ফায়ার লাইসেন্স পেতে গেলে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট ২০০৩ অনুয়ায়ী যে সমস্ত নিয়মকানুনগুলি রয়েছে সেগুলো মেনে চলাটা বাধ্যতামুলক। তবে এই কমিটি গঠন হওয়ায় পুরোনো পোর্টালে যারা অনলাইনে আবেদন করেছেন ও যারা সমস্ত আইন মেনে আবেদন করেছেন তাদের এই লাইসেন্স পেতে কলকাতায় যেতে হবে না। আগামী সোমবার নতুন কমিটির প্রথম মিটিংয়ে যতগুলো সম্ভব লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হবে। তবে যাদের আবেদন মঞ্জুর হবে না তাদের নতুন পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তিনি জানান, ফায়ার লাইসেন্স দেওয়ার এক্তিয়ার পুরসভা, এসজেডিএ কিংবা মহকুমা পরিষদের নেই। দমকল বিভাগকই দেওয়ার অধিকারি। দমকল বিভাগ আবেদনকারীদের আবেদন সমস্ত নিয়ম রয়েছে কিনা দেখে তার মঞ্জুরি দেওয়ার পর তা স্থানীয় প্রশাসন আবেদন কারীদের হাতে তুলে দিতে পারে। এদিন তিনি সম্প্রতি চম্পাসারীর অগ্নিকান্ডে দমকল থেকে যে মোটা অংকের টাকা চাওয়া হয়েছিল সে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন। তিনি জানান, ফায়ার লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তা নেভাতে দমকলের কি কি সামগ্রি ব্যবহার হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে চার্জ। এই চার্জ সরকারের রেভেনিউ। এটা না নিলে অডিটে গিয়ে দমকলকে জবাব দিতে হয়। সেই চার্জ কেউ না দিলে তা আদায় করার দায়িত্ব জেলা শাসককে দেওয়া হয়।