Home রাজ্য উত্তরবঙ্গ ফাঁসিদেওয়ায় তাক লাগানো স্ট্রবেরি চাষ করছে দশম শ্রেণীর ছাত্র

ফাঁসিদেওয়ায় তাক লাগানো স্ট্রবেরি চাষ করছে দশম শ্রেণীর ছাত্র

ফাঁসিদেওয়া, ১ মার্চ: স্ট্রবেরি চাষ করে সংসারের আর্থিক অনটন মেটাতে পরিবারের পাশে দাঁড়ালো দশম শ্রেণীর ছাত্র।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফাঁসিদেওয়া বাঁশগাও কিসমত গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যোতিনগর গ্রামে এই ঘটনা।
আনন্দ বিশ্বাস নামে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্র পড়াশুনার পাশাপাশি স্ট্রোবেরি চাষ করে সংসারের হাল ধরল। সেই ছাত্র বাবার সাথে কৃষি জমিতে কাজ করতে করতে হঠাৎই তার মাথায় আসে এমন কোন চাষাবাদ করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ তাকে চিনতে পারে।
এই স্বপ্নটা তার বহুদিন আগেকার। তার মাথায় আসে স্ট্রবেরি চাষ করবে। ফাঁসিদেওয়ার মানুষকে স্ট্রবেরি প্রতি আরো আকর্ষিত করে তোলার জন্য স্ট্রবেরি চাষটাই বেছে নেয় ।
প্রথম বছর ৮০ থেকে ৯০ টি ছাড়া বিক্রি করেছে । এবছর ১২০০ স্ট্রবেরি চারা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিল। এলাকার সমাজকর্মী এবং শিক্ষকরা জানান এতোটুকু বয়সে সেই যুবক এত সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে সে এগিয়ে যাক এটাই আমরা চাই । বর্তমান যুগে মোবাইলের গেমের থেকে সরে ও যে স্ট্রবেরি চাষে মগ্ন হয়েছে সেটাই দেখা উচিত। এলাকার সকল যুবসমাজ থেকে আরো অনেক এটা দেখে শিখতে পারে। ওই ছাত্রের বাবা মা জানান ছোট থেকে আমরা চাষাবাদ করে আসছি।
সেটি দেখে হয়তো ছেলের মনোবল বেড়েছে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাষাবাদের দিকে। এলাকায় দশম শ্রেণীর এই ছাত্রর স্ট্রবেরি চাষে মগ্ন গোটা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহ যোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে আরো স্ট্রবেরি চাষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই দিকের চেষ্টা করছেন ব্লক প্রশাসনে আধিকারিকরা। তারা জানান আমরা এই স্ট্রবেরি চাষকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি তবে কিভাবে করা হবে সে বিষয়ে তারা জানাননি। মৌখিকভাবে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, আগামীতে যাতে এই ফাঁসিদেওয়া ব্লকে স্ট্রবেরিতে এগিয়ে নিয়ে যায় সেটাই চেষ্টা করছেন এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক। অন্যদিকে আনন্দ বিশ্বাস জানান সে একদিন একটি গাছ কিনে এনেছিল। বাইরে থেকে। খুব সুন্দর লাগছে দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়। চার পাঁচটি কাজ লাগে। এর পরেই চাহিদা বাড়বে ধীরে ধীরে চাষ বাড়াতে থাকে। এ বছর বহু চাহিদা ছিল তাই বেশি করে চাষ করেছে। আগামীতে আরো বেশি করে স্ট্রবেরি চাষ করা হবে। তাতে আমি খুব খুশি কারণ আমি পড়াশোনা আর চাষ নিয়েই থাকতে চাই। এখান থেকে যা উপার্জন হয় পুরোটাই বাবা মার হাতে তুলে দিই।