প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সহ গোটা কমিটি চলে এল তৃণমূলে

শিলিগুড়ি, ১৫ মে:‌ শিলিগুড়িতে কংগ্রেস গড়ে ভাঙন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য তথা কাউন্সিলর সহ অন্তত ১০০ জন কংগ্রেস কর্মী–সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। শনিবার ছোট এক অনুষ্ঠান করে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ি প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নির্ণয় রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলার প্রদীপ গোয়েল সহ অন্যরা। এই অনুষ্ঠানে ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সীমা সাহ ও তার স্বামী যতন সাহা তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। এর পাশাপাশি ওয়ার্ড কংগ্রেসের সভাপতি অজিত পাল, মহিলা সভানেত্রী প্রতিমা বসু সহ কংগ্রেস কমিটি তৃণমূলে চলে আসে। পতাকা তুলে নিয়ে সীমা সাহা বলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। তাঁর এই লড়াইয়ের সাথী না হওয়াটা মনে হয় অন্যায়। তাই আমি তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলাম। এবার শিলিগুড়ি তথা রাজ্যের উন্নয়নে একটু সামিল হতে চাই। একই কথা বলেন কংগ্রেস নেতা তথা সমাজকর্মী যতন সাহা। তিনি বলেন, এখানে মানুষ উন্নয়ন চায়। কিন্তু দীর্ঘ দিন বামেদের হাতে থাকা এমনকি কংগ্রেসের হাতে থাকা শিলিগুড়ি পুর বোর্ড মানুষের পরিষেবা দিতে পারেনি। এবার আমাদের কাজ শিলিগুড়ির উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মুখ্যমন্ত্রীই পারবেন তা করতে। তাই কোন দিকে না ভেবে আমরা এদিন অন্তত ১০০টি পরিবারকে নিয়ে তৃণমূলে এলাম। এই ওয়ার্ডে অন্য কোন দল এরপর থাকবে না। কদিন আগে দুই বাম পুরকর্তা তৃণমূলে যোগ দেন। বামেদের ভাঙনের পর এবার কংগ্রসে শুরু হল। এদিন গৌতম দেব বলেন, বহু বছর কংগ্রসের দখলে এই ২৫ নম্বর ওয়ার্ড। সীমা সাহা ও তার স্বামী যতন সাহা প্রতিটি মানুষের পাশে থাকেন। দলমত ভুলে গিয়ে কাজ করেন। এমন মানুষদেরকে আমরা দলে নিতে পারলাম। আমাদের লক্ষ্য শিলিগুড়ি উন্নয়ন সার্বিক উন্নয়ন করা। দুর্ভাগ্য এতদিন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা তা করেনি। শিলিগুড়ি পুর নিগম এলাকায় আমরা রাজ্যের সমান্তরালে উন্নয়ন দিয়ে সাজিয়ে দিতে চাই। জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, এখানে এভাবে সভা করা উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই হয়ে গেল মানুষ এখন উন্নয়নে সামিল হতে চাইছে। এভাবেই বাম, কংগ্রেস হারিয়ে যাবে।