প্রশাসনিক বৈঠকেও মহাসড়ক নির্মাণের জমিজট কাটল না

রাজগঞ্জ, ২৩ জুন: রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের যৌথ বৈঠকের পরও ফুলবাড়িতে মহাসড়কের জমিজট রয়ে গেল। প্রায় দুই বছর থেকে ফুলবাড়িতে থমকে থাকা পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
পূর্ব-পশ্চিম চার লেনের মহাসড়ক তৈরি করার জন্য ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু জমিদাতাদের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে মূল্য দিচ্ছে তা নিতে রাজি নয়। ফলে ফুলবাড়ি এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ থমকে যায়।
বুধবার ফুলবাড়ির জমিজট নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়। বৈঠকে জমিদাতাদের উপস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে প্রশাসনের আধিকারিকরা এবং জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষন বৈঠক হলেও জমিজট কাটেনি।
প্রসঙ্গত, মহাসড়কের জন্য জমিদাতাদের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক না হওয়ায় বেশ কয়েকজন জমিদাতারা হাইকোর্টে মামলা করেন। পরবর্তীতে আর্বিট্রেশনে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের ভিত্তিতে আর্বিট্রেশন কর্তৃপক্ষ একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজি নয়। ফলে রাস্তার কাজ প্রায় দুই বছর থেকে থমকে রয়েছে। এদিন সমাধানের উদ্দেশ্যে ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে জমিদাতাদের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক বৈঠক করা হলেও মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ আর্বিট্রেশনের নির্ধারিত মূল্য দিতে রাজি না হওয়ায় জমি জট রয়ে গেল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির
অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি সংস্কার বিভাগ) রঞ্জন কুমার চক্রবর্তী, ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন অফিসার পিনাকী সেন গুপ্ত,
এনএইচএআই এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব কুমার, বিডিও এন সি শেরপা, বি এল এল আর ও রূপক চন্দ্র ভাওয়াল, জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশীষ প্রামাণিক, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায়।