Home রাজ্য উত্তরবঙ্গ পুর ভোটের আগে তৃণমূলে এলেন প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর

পুর ভোটের আগে তৃণমূলে এলেন প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর

শিলিগুড়ি, ১০ ফেব্রুয়ারি: পুর ভোটের মুখে শিলিগুড়িতে বাম বোর্ডে ভাঙন। প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য পরিমল মিত্র সহ তাঁর অনুগামীরা যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন একই সঙ্গে মহিলা ও যুব নেতৃত্ব সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসেন। একজন পোড় খাওয়া বস্তি উন্নয়ন বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্যকে তৃণমূলে পেয়ে খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন তাই এর আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মেয়র পারিষদ সদস্য সঞ্জয় পাঠককে পাশে বসিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বার্তা দেন, বস্তির মানুষের কাছে আমরা আরও সহজে পৌঁছতে পারব। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গরীব মানুষ পাশে রয়েছেন। এবার পাট্টা, লিজ দেওয়া সহ সেই কাজটি করতে শিলিগুড়িতে আরও সুবিধা হবে। তবে এদিন পরিমলবাবু তৃণমূলের যোগ দেওয়াও বামেদের মধ্যে যে কলহ তা প্রকাশ্যে এসেছে। বাম বোর্ডের মেয়রকে এর আগে তুমুল বিষাদগার করেছেন শিলিগুড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হওয়া এই পরিমলবাবু। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন এই বোর্ডের থেকে কেউ দল ছাড়বে না। পরিমলবাবু তৃণমূলে আসায় মেয়রের সেই চ্যালেঞ্জে বড় ধাক্কা। যদিও ‘‌বিশ্বাস ঘাতক’‌ বলে তাকে দল ও পদ থেকে বহিস্কার করে বামেরা দায় সেরেছে। এদিন পরিমলবাবুও বলেন, ‘‌যেখানে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ বেশি সেখানে এসেছি। বাম বোর্ডে যা চলছিল তা মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজ করতে চান, ভাওতা দিয়ে চলতে নয়। বাম বোর্ড এটাই করে চলছে।’‌ পরিমল মিত্র তৃণমূলে আসায় এখন বামেদের আসন করে দিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। আর তৃণমূল ১৯ জনে। তার তৃণমূলে আসায় দলে একটা শ্রেনীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিতে পারে। যদিও এদিন পরিমলবাবুর কাজ করার মানুষিকতা প্রসঙ্গ ধরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, দলকেও বার্তা দেন। বলেন, ‘‌সবাইকে মন করতে হবে। মনকে প্রসারিত করতে হবে। সবাইকে একই সঙ্গে কাজ করার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। দলে যতই যোগদান হবে দলের বিস্তৃতি লাভ করবে। দল আরও বেশি শক্তিশালি হবে।’‌ উলেখ্য মে মাসের মাঝামাসি সময় বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। তারপরেই নির্বাচন হবে। তাই এর আগে ভাঙন তাৎপর্যপূর্ণ। ‌
©গিরিশ মজুমদার