পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শিলিগুড়ির সেই শিক্ষককে

শিলিগুড়ি, ২৯ নভেম্বরঃ ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হল সেই শিক্ষককে। শিলিগুড়ি বয়েজ প্রাইমারি স্কুলের সেই শিক্ষকের নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি তার স্কুলে সরকারী পোষাক বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। শুক্রবার তাকে তার পদ থেকে সরানো হল। এবিষয়ে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক) বালিকা গোলে জানান, কোন মন্তব্য করব না। শুধু একটু বলতে পারি শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা স্কুল কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন বিশ্বজিৎ বাবু। তিনি চেয়েছিলেন নিজেই সরে যেতে। গত ২৩ নভেম্বরের ঘটনায় পর তিনি এই ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু এভাবে সরিয়ে দেওয়াতে কিছুটা আক্ষেপ তার। তবুও বলেন, সরকারী নির্দেশিকা মাথা পেতে নিলাম। পাশাপাশি এদিন তিনি বলেন, আমি নির্দোষ। স্কুলের পোষাকের লোগোয় পদ্মের ছবি থাকার বিষয়ে আমার কোন দোষ ছিল না। ভুল করে যারা লোগো বানায় সেই স্বনির্ভর দল করেছিল। আমি তাদের বলেছি। উল্লেখ শিলিগুড়ির এই স্কুলের পোষাকের লোগোতে পদ্ম ফুলের ছবি দেওয়া হয়। আগেই লোগোতে এই পদ্ম ফুল সহ আরও কিছু ছিল। তা বাজে দিয়ে শুধু জাতীয় ফুল পদ্ম দেওয়াতে বিতর্ক শুরু হয়। আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল।বিষয়টি বিতর্কে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে শিলিগুড়ি বয়েজ প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাতে নাম জড়ায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎবাবুর।তৃণমূলের অভিযোগ, স্কুলের পোষাকে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি রাজনৈতিক দলের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যা কোনমতেই আপোষ যোগ্য নয় বলেই অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। এই বিষয়টি জানানো হয় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে(প্রাথমিক)। একইসঙ্গে অভিযোগ দায়ের হয় থানাতেও। শিক্ষা দপ্তর অবধি পৌঁছায় অভিযোগ। এরপর শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে শিক্ষাদপ্তরের তরফে ওই প্রধান শিক্ষককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ওই স্কুলের পোষাক তৈরীর বরাত একটি সমিতিকে দেওয়া হয়েছিল। সেই সমবায় সমিতির তরফে ভুল স্বীকার করে জানানো হয়েছিল তাদের সামান্যতম ভুলে এই বিতর্ক। যদিও শিক্ষা দপ্তর সমবায় সমিতির ভুলকে গ্রাহ্য না করেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে তার পদ সরিয়ে দেয়। এবিষয়ে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, অনিচ্ছাকৃত হয়ে গেছে এটা। আমি শুরু থেকেই তা বলেছি। আমি নির্দোষ। তবে, আমার উচিৎ ছিল পোষাকগুলি নেওয়ার সময় তা খতিয়ে দেখা। তারপরেও আমার নজরে সেভাবে কোন ভুল খুঁজে পাচ্ছি না। এই বিষয়টিকে কে কিভাবে দেখবেন তা আমার বলার নয়। আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশিকা মাথা পেতে নিচ্ছি। আমি স্কুলেই থাকব। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।