পঞ্চগড়ের সঙ্গে রেল লাইনে শিলিগুড়ি জুড়তে আগ্রহী বাংলাদেশ

পঞ্চগড় ও শিলিগুড়ি, ৩০ আগস্ট: এবার শিলিগুড়ির কাছ দিয়ে রেল লাইন দিয়ে দুই বাংলাকে জোড়ার ভাবনা। বাংলাদেশের পঞ্চগড় থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন দিয়ে জুড়তে আগ্রহী বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তৈরি হচ্ছে রুট ম্যাপ। ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়েই এই রেল লাইন চলে যাওয়ার কথা। বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পঞ্চগড় থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণে দু’দেশর সরকারের আগ্রহ রয়েছে। এতে করে ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ সহজ হবে। এই রেললাইন সম্প্রসারণে লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের আগেই ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ হবে।
ভারতের তরফে এর আগেই রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এনজেপি স্টেশন থেকে খুব কাছে ফুলবাড়ি বন্দর। কামরাঙাগুড়ি থেকে রেললাইন সম্প্রসারণ করে নিয়ে গেলে সীমান্ত মাত্র ৪ কিলোমিটার।
আমদানী-রপ্তানী কারকদের মতে বেনাপোল-পেট্রোপোলের চেয়েও ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বেশি সম্ভাবনাময়। এই একটিমাত্র বন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশের বাণিজ্য চলে। তাই এই স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা করা প্রয়োজন মনে করে দুই দেশ। শনিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভায় ছিলেন বাংলাদেশ রেলমন্ত্রী। বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেড ও তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্টের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা।   
সেখানে রেলমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো দুই দেশে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে। অবকাঠামোসহ অন্যান্য ব্যাপারে টেকসই চিন্তা করতে হবে। এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহল সহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।

©মোবারক হোসাইন
©ও গিরিশ মজুমদার