উত্তর দিনাজপুর, ১৩ আগস্ট: ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে অসুস্থ প্রসূতিকে এক বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে এনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা। নার্সিংহোমে তালা বন্ধ করে পলাতক চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর শহরের নিউ টাউন সংলগ্ন এলাকায়।।এই ঘটনায় নার্সিংহোম চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ আগস্টে পারভিন খাতুন নামে বছর ২৫ এর এক মহিলাকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ইসলামপুর শহরের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ইসলামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের পরামর্শে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। প্রসূতির সিজার করার জন্য চিকিৎসক ২৫ হাজার টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। তাতেও রাজি হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেদিন দুপুরে সিজার করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিজার করার পর থেকে প্রসূতি মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেইদিন সন্ধ্যায় ওই চিকিৎসক উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে রেফার করে দেন । পরিবারের সদস্যরা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা দেখে সেখানকার চিকিৎসকরা ভর্তি নেননি। নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যরা বিহারের কিষানগঞ্জের এক বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যায়। সেখানেও তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রসূতিকে নিয়ে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করান। টানা ছয় দিন সেই নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলার পর ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে ছুটি করে আবার ইসলামপুরের সেই নার্সিংহোমে নিয়ে এসে দেখেন নার্সিংহোমে তালা মেরে পালিয়ে গেছে চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই রোগীর আত্মীয়স্বজনরা জমায়েত প্রসূতিকে নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ ও স্হানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বরা। প্রসূতিকে সুস্থ করার দাবি তুলেন পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্হানীয় তৃনমূল নেতা জাভেদ আকতার। অনেকক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। এবারের নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।