শিলিগুড়ি, ২ এপ্রিল: করোনা মোকাবেলায় দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলাকে প্রস্তুত রাখতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার তিনি পরপর তিনটি বৈঠক করেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। বৈঠক এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়া জন্য আবেদন করা হয়। এদিকে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কতটা প্রস্তুত হাসপাতাল কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখা হয়। পরবর্তীর কথা ভেবে জেলাতে ১৮ টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার খোলার কথা জানান তিনি। তার মধ্যে ১০ টি রয়েছে পাহাড়ে। এবং ৮ টি রয়েছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায়। এরমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগকেও কাজে লাগিয়ে দুটি কোভিড-১৯ ক্লিনিক খোলা হচ্ছে। একটি হচ্ছে মাটিগাড়া সংলগ্ন হিমাচল বিহারের পাশের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। অন্যটি হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়িতে একটি নার্সিংহোমে। এই দুটি জায়গায় রাজ্য কোভিড ক্লিনিকের জন্য নিয়েছে। যদিও একটি ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্মীদের থেকে আপত্তি এসেছে। বিশেষ করে মাটিগাড়ার ওই নার্সিংহোমের স্বাস্থ্যকর্মীরা আপত্তি জানান। তারা নিরাপত্তা ও পরবর্তীর কথা ভেবে ক্লিনিক করতে দেবেন না বলে জানান।
এদিন মেডিক্যালের ডাক্তার, প্রিন্সিপাল, মেডিকেল সুপার, নার্সিং স্টাফ, জিডিএ স্টাফ ও সাফাইকর্মীদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক সাফাইয়ের জন্য মেডিক্যালে একটি টিম পাঠিয়েছিলেন। এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আরেকটি সাফাইয়ের টিম করে দিয়েছেন। শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে ইতিমধ্যেই ১০ জনের একটি সাফাইকর্মীর টিম পাঠানো হয়েছে।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ৩ জন রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছে এবং ১৩ জন ফিভার ক্লিনিকে ভর্তি আছে। এদিন মন্ত্রী আইএমএ-র প্রতিনিধিদের সাথে শিলিগুড়ি পিডব্লিউডি ইনস্পেকশন বাংলোতে বৈঠক করে তাদের সহযোগিতা চান। মন্ত্রী বলেন, “মেডিকেলে পিপিই কিড চলে এসেছে। অন্যান্য সরঞ্জামও এসেছে। আরও যা যা লাগবে তা রাজ্য সরকার পাঠাবে। আমাদের এই লড়াইয়ে সবাইকেই ঝাপাতে হবে। আমিও দিনরাত এক করে ঘুরছি। যাতে পরবর্তীতে আমাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে সুবিধা হয়। এর জন্য অগ্রিম কোয়ারেন্টিন সেন্টার কোভিড ক্লিনিক করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। মানুষের জীবন আমাদের কাছে বড়।”