ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর জখম ছাত্রী, বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগ

রাজগঞ্জ, ৯ জুন: গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলে বালি পাথর-বোঝাই ডাম্পার। ফলে মাঝেমধ্যেই হচ্ছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ডাম্পারের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ফের ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় এক ছাত্রী। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জের আমবাড়ি – চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে রিয়া রায় নামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী টিউশন পড়ে বাড়ির দিকে আসছিল। তার বাড়ি স্থানীয় ছাট মৌলানীগছ গ্রামে।। আমবাড়ি চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তার পাশ দিয়ে আসার সময় একটি ডাম্পার তাকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডাম্পারটি পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাড়ি – চেউলিবাড়ি পাকা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পাশাপাশি ওই রাস্তায় চলাচলকারী ডাম্পার গুলিকে আটকে দেয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডাম্পারগুলি গজলডোবা – ফুলবাড়ি ক্যানাল রোড দিয়ে চলাচল করতো। কিন্তু ওই রাস্তায় একটি সেতু খারাপ হয়ে রয়েছে। তাই পাঁচ শতাধিক বালি – পাথর বোঝাই ডাম্পারগুলি আমবাড়ি – চেউলিবাড়ি রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। বেপরোয়া ডাম্পারের জন্য মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা হচ্ছে। ডাম্পারের দৌরাত্ম্যে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন বাসিন্দারা। ভয়ে রাস্তার পাশের বাসিন্দারা রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারে না বলে অভিযোগ। তাই বাসিন্দারা এই পথে ডাম্পার বন্ধ রাখার দাবি তোলেন। বাসিন্দাদের আরো অভিযোগ, ডাম্পারগুলি ওভারলোড বালি – পাথর নিয়ে যায় এবং কিছু ডাম্পারের লাইসেন্স নেই। কিন্তু পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনও পদক্ষেপ করছে না। প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধের পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ অবরোধকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। অবশেষে পুলিশ লাঠি উচিয়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি একজন অবরোধকারী সহ কয়েকটি বাইক আটক করে পুলিশ। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।