Home রাজ্য উত্তরবঙ্গ ট্রাফিকের ফাইন রাস্তাতেই মেটাতে পারবেন

ট্রাফিকের ফাইন রাস্তাতেই মেটাতে পারবেন

শিলিগুড়ি, ৩ মার্চ: আইন ভাঙলে পথেই জরিমানা আদায় করবে পুলিশ। এজন্য আনা হল নতুন এক ধরণের মেশিন। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবার সম্পূর্ণ ডিজিটাল হতে চাইছে। তাই শহরে চলমান সব ধরনের গাড়ির মামলা-জরিমানা ডিজিটাল পয়েন্ট অফ সার্ভিস (পস) মেশিনেই করা হবে। ট্রাফিক পুলিশের হাতে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে স্মার্ট মোবাইল ট্যাবলেট টার্মিনাল। বিদেশ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে আনা হয়েছে এই পস মেশিন। চলতি মাস থেকেই প্রথমিক পর্যায়ে এর কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে। এই ব্যবস্থায় ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে জমা করে দিতে পারবেন জরিমানার টাকা৷ ইচ্ছা করলে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ইউক্যাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। ডেবিট কার্ড সঙ্গে না থাকলে পরিচিত কারোর মোবাইল নম্বর দিলে সেখানেও চলে যাবে লিঙ্ক। তার মাধ্যমেও টাকা দেওয়া যাবে। তবে গাড়ির কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
শিলিগুড়ি ট্রাফিক সূত্রে জানাগেছে, হেলমেট, লাইসেন্স, দূষণ, ফিটনেস, ওভারলোড সহ যানবাহন সংক্রান্ত নানা অপরাধে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মামলা-জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানা পরিশোধ করে মামলা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আরেক দফায় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিভিন্ন সময় জরিমানার নামে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। তাই ডিজিটাল মেশিনে তাৎক্ষণিক রাস্তাতেই জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। ট্রাফিকের সাব ইন্সপেক্টর ও ইন্সপেক্টরদের কাছে একটি করে এই মেশিন থাকবে। যানবাহনের মালিকদের ভোগান্তি ও সময় অপচয় কমিয়ে আনতে এই স্মার্ট মোবাইল ট্যাবলেট টার্মিনাল মেশিন ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে পুরোপুরি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা রয়েছে। এই মেশিন ব্যবহারের ফলে ট্রাফিক পুলিশও স্বল্প সময়ে অনেক কাজ করতে পারবেন। ফলে তাদের কাজে স্বাচ্ছন্দ্যও ফিরে আসবে। ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা জানান, এই মেশিনে গাড়ির নম্বর, মামলার কারণ ও জরিমানার পরিমাণ সহ সব ধরনের তথ্য লেখা হবে। এরপর তাৎক্ষণিক একটি রশিদ দেওয়া হবে। জরিমানার ব্যাপারে সব তথ্য তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় সার্ভার ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগে চলে যাবে। গাড়ির মালিকেরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জরিমানা প্রদানের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবেন। ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেওয়ার পর তার জরিমানা আদায় এবং মামলার নিষ্পত্তি করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশকেও দায়িত্বপালন করতে হয়। তাও কমে আসবে এবার। এই মেশিন ব্যবহারের পর থেকেই ম্যানুয়াল মামলার অবসান হবে। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে আগের চেয়ে বেশি গাড়ি আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং পুরনো জরিমানার তালিকাও দেখা যাবে।

গিরিশ মজুমদার