শিলিগুড়ি, ১৫ নভেম্বর: ট্যাব জালিয়াতি নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতা উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এমনটাই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যাব জালিয়াতি ছড়িয়ে পড়েছে সারা রাজ্যে। ‘তরুণের স্বপ্ন’ নামে এই প্রকল্পে পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দ টাকা জমা পড়ছে অন্য অ্যাকাউন্টে। এই জালিয়াতি চক্রের কয়েকজন ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে। এবার মালদা থেকে ধরা হলো একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সিএসপির মালিককে।জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রায় ২০০ টি স্কুলে এই সমস্যা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৩০০ পড়ুয়ার টাকা জমা পড়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের মালদা জেলা, শিলিগুড়ি, সিকিম ও কোচবিহার জেলা রয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ এই টাকা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা শুধু নয়, বিহারের কিছু অ্যাকাউন্টেও জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থেকে ওই চক্রের ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার ট্যাবকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হলো মালদা থেকে। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান জেলা পুলিশ এবং বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করূ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের মালিককে। ধৃতের নাম সুব্রত বসাক। তার বাড়ি বৈষ্ণবনগরের চকসেহেরদী গ্রামে। তার বাড়ির কিছুটা দূরেই রয়েছে সিএসপি। সূত্রে খবর, তার সিএসপি থেকেই ওই ট্যাবের টাকা ট্রানজাকশন করা হয়েছে।শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে৷ এটা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে করতে দিন। এই ঘটনা মহারাষ্ট্র, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে ঘটেছে। এই গ্রুপটাকে আমরাই ধরতে পেরেছি। সুতরাং আমাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন খুব স্ট্রং , রাফ এন্ড টাফ। ট্যাবের যারা টাকা পাইনি তারা পেয়ে যাবে৷অন্যদিকে তিনি বলেন, আমার পাহাড় সফর খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে চারটি স্কিল ট্রেনিং সেন্টার পাহাড়ে হবে। শিলিগুড়িতে আগে থেকেই একটা রয়েছে, সপ্তম রায় চৌধুরী করছে। এতে প্রচুর ছেলেমেয়ে ট্রেনিং পাবে এবং চাকরির সুযোগ পাবে।