রাজগঞ্জ, ৬ জানুয়ারি: চাকরির দাবিতে সেচ দপ্তরের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে জমি ক্ষতিগ্রস্তরা। সোমবার আমবাড়ি গজলডোবা পাকা রাস্তায় গেটবাজারে সেচ দপ্তরের অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ চলছে। ভিতরে আটকে রয়েছেন সেচ দপ্তরের তিনজন কর্মী। চাকরির লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে বলে কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, নেতা, মন্ত্রী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কিন্তু চাকরি দেওয়া হয়নি। তাই এদিন প্রথমে গেটবাজারে সেচ দপ্তরের অফিস তালা মেরে সামনে বিক্ষোভ দেখান। তারা তিস্তার ডানহাতি সেচ নালার ব্যারেজের লকগেট বন্ধ করার জন্য কর্মীদের কাছে চাবি চায়। কিন্তু চাবি না দেওয়ায় অফিসে তালা মেরে অবস্থানে বসে পড়েন। তাদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের জন্য ১৯৮৩ – ৮৪ সালে জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকার। জমি অধিগ্রহণের সময় জমিদাতাদের সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু আজও চাকরি দেওয়া হয়নি। প্রায় ৬০০ ভূমি দাতা রয়েছে। চাকরির জন্য জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে ৮ দিন অনশন করা হয় । জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাড়ি এবং রাজগঞ্জের বিধায়কের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয় । গত ১৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যায় ল্যান্ডলুজার কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে প্রশাসন। তার পর প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেল প্রশাসনের তরফে কোনো আশার বাণী শুনতে পাইনি।
কমিটির জেলা সভাপতি নজরুল রহমান বলেন, নেতা, মন্ত্রী ও প্রশাসনের শুধু আশ্বাসই পেয়েছি, কিন্তু চাকরি পায়নি। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই চাকরি সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে।