নিউজ ডেস্ক, ১১ এপ্রিল: এবার গাড়ি চোরের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলল। আর তা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে চাঞ্চল্য। এমন ঘটনা পাঞ্জাব। কীভাবে ওই চোর করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সেটা খুঁজে বের করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই চোরের পরিবার, তার সংস্পর্শে আসা ১৭ জন পুলিশকর্মী, পুলিশকে সাহায্য করা দুই যুবক আর বিচারক সহ আদালতের কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আর এটাই উদ্বেগের।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ এপ্রিল গাড়ি চুরির অভিযোগে ২৫ বছরের ওই চোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একদিনের জন্য জেলে ঢুকিয়ে ৬ এপ্রিল তাকে আদালতে পেশ করা হয়। আর আদালতকক্ষে কাশতে শুরু করে দেয় ওই গাড়ি চোর। তার হালকা জ্বরও ছিল। বিচারক ঝুঁকি না নিয়ে তাকে আগে চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিকিৎসকের সন্দেহ হওয়ায় তাকে করোনার পরীক্ষা করাতে বলেন। আর পরীক্ষা করে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ।
এত এতেই পুলিশের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সৌরভের সঙ্গী আরেকজন। তারও করোনা পরীক্ষায় উদ্যোগী হয় পুলিশ। তখন ওর হাতকড়া খুলতেই পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় সে। অন্যদিকে আপাতত এই গাড়ি চোরের সংস্পর্শে আসা ১৭ পুলিশকর্মীকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তিন এএসআই, দু’জন হেড কনস্টেবল, দু’জন কনস্টেবল, দু’জন হোমগার্ড এখন কোয়ারেন্টাইনে। কার বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে করোনা ধরিয়েছে, তার পর কার কার বাড়িতে গিয়েছে, সেটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। পুরো ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।