রাজগঞ্জ ও ফুলবাড়ি, ৩১ মার্চ: ঠান্ডা অনেক আগেই চলে গেছে। এখন মার্চ মাস শেষ হয়ে এপ্রিলে পড়বে কাল। অথচ ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজ, আমবাড়ি ব্যারেজ ও করতোয়া নদীতে পরিযায়ী পাখিরা আছে। বিশেষ করে ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজে এখনও এই বিদেশী পাখিরা জলকেলি করছে। ওদের যেন এখানে ভালো লেগেছে। যাওয়ার নাম বালাই নাই। আর এই পাখিদের থাকা নিয়ে খুশি পরিবেশ প্রেমীরা। পাখিদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা আশাবাদী। পরিযায়ী পাখিরা এমন পরিবেশ পেলে একসময় সারা বছরের জন্যই এখানে আবার মানিয়ে নিবে। তাতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।
শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজ, গজলডোবা, আমবাড়ি ব্যারেজ প্রভৃতি এলাকায় পরিযায়ী পাখিরা প্রতিবছর শীতের সময় আসে। সাইবেরিয়া, চীন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক হাজার পাখি আসে। শীতের সময় সেসব দেশের জলাশয়গুলোয় জল জমে বরফ হয়ে যায়। তাই উড়তে উড়তে অপেক্ষাকৃত কম ঠান্ডার দেশে চলে আসে। কয়েক মাস কাটায়। এখানে এসে তারপর কয়েক মাস কাটিয়ে গরম শুরু হতেই তারা চলে যায় নিজেদের গন্তব্যে। এবারও ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজে প্রচুর পরিযায়ী পাখি এসেছিল। এখানে আবার পাখিদের যাতে বিরক্ত না করা হয় তার জন্য অপটোপিক শিলিগুড়ি সারা বছর কাজ করে। আরও কিছু সংস্থা এখানে পাখিদের রক্ষায় নজরদারি চালায়। সহযোগিতায় থাকে এখানকার গ্রাম পঞ্চায়েত, পুলিশ, ব্লক প্রশাসন। অপটোপিক মাঝেমধ্যেই পাখি ও পরিবেশ রক্ষায় শিবির করে। তাই এবার পাখিরা যেন পরিবেশ খুঁজে পেয়েছে থেকে গেছে এই গরমেও। এখনো মহানন্দা ব্যারেজ থেকে এই পাখিদের জলকেলি দেখে খুশি বাসিন্দারা। অপটোপিকের এক সদস্য সন্তু দত্ত বলেন, আমরা চাই এমন পরিবেশে থাকুক মহানন্দা ব্যারেজ। পাখিদের জন্য উপযুক্ত জায়গা হয়ে উঠুক ব্যারেজের এই জলাশয়। এদিকে আমবাড়ি করোতোয়া নদীতে প্রচুর বাইরে থেকে পাখি আসে। কিন্তু কিছু সংখ্যক আসাধু মাছ ব্যবসায়ী তাদের উৎপাত করছে এবং তাদের শিকার করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেন এলাকাবাসী।
© গিরিশ মজুমদার
ছবি: রাজকুমার রায়