কৃষকরা দাম পাচ্ছেন আলুর, ক্ষোভ জেলায় জেলায়

হেডলাইন নিউজ, ১২ মার্চ: রাজ্য জুড়েই এই ছবি। আলুর দাম কম নিয়ে জেলায় জেলায় ক্ষোভ বাড়ছে আলু উৎপাদনকারী চাষিদের। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে হাটে হাটে। আলু রাস্তায় ফেলে অবরোধ বিক্ষোভেও শামিল হচ্ছেন চাষিরা। চাষিদের এই ক্ষোভকে সংগঠিত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলির কৃষক সংগঠন। এনিয়ে ইতিধমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছে সারা ভারত কৃষক সভা। বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার উত্তর, দক্ষিণ দুই দিনাজপুরেও।
প্রয়োজনীয় হিমঘর না থাকায় মাঠ থেকেই খুব কম দামে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন আলু চাষিরা। বাজারে সাধারণ সাদা আলুর দাম ৮ টাকা কিলো হলেও চাষিরা আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অর্ধেক মূল্যে। এ বছর দুই দিনাজপুরে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে উত্তর দিনাজপুরে এবারে আলুর চাষ হয় ২৮৬৩০ হেক্টর জমিতে। মোট ফলনের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৪ হাজার মেট্রিক টন। এ জেলায় হিমঘর রয়েছে মাত্র ৭টি। ধারণ ক্ষমতা ১২২৫০০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলুর পরিমাণ ১৮১৫০০ মেট্রিক টন। দক্ষিণ দিনাজপুরে আলু চাষ হয়েছে ২১৩৩০ হেক্টর জমিতে। ফলনের পরিমাণ ৩৭৩১২৫ মেট্রিক টন। হিমঘর ২টি। ধারণ ক্ষমতা ৩৫০০০ মেট্রিক টন। অতিরিক্ত আলুর পরিমাণ ৩৩৮১২৫ মেট্রিক টন। তাই দুই জেলার আলু চাষিদের ক্ষোভ, ‘‌আলু মাঠেই পচবে। বাড়িতেও রাখার ব্যবস্থা নেই। কম দামে আলু বিক্রি করা ছাড়া আর কোনও পথ তাদের কাছে নেই। সারের দাম, আলুর বীজ, সেচ ইত্যাদিতে যা খরচ পড়ে তাতে অন্তত কুইন্টাল প্রতি ১০০০ টাকা দাম পেলে লাভ না হলেও খরচটা উঠত। কিন্তু ৪০০ টাকা কুইন্টাল দরে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। হিমঘরে আলুর বন্ড নিয়েও কালোবাজারির শিকার হতে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ আলু চাষিদের। চাষিদের দাবি, সরকার হিমঘরে সংখ্যা বাড়াক নয়তো আলুর দাম বেঁধে দিক। না হলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ভর্তুকি দিন সরকার।