শিলিগুড়ি, ২১ মার্চ: সাব ক্যানালের পাড় ভেঙ্গে বিপত্তি বাধল ফুলবাড়ির জটিয়াকালীতে। বহু বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ল জল। ঘরের মধ্যে জল ঢুকে নষ্ট হল জিনিসপত্র। সোমবার সন্ধ্যায় বিকট শব্দে ভেঙে যায় সাব ক্যানালের পাড়। মুহূর্তেই হু হু করে জল ঢুকতে থাকে বাড়ি–ঘরে। বাসিন্দারা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। কি করবেন ভেবে পারছিলেন না তারা। অনেকে ঘরের জিনিস বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাড়ির উঠোন দিয়ে নদীর মতোই জল বয়ে যায়। মুহূর্তেই জলে ভরে যায় রাস্তাঘাট।
এই ঘটনায় অন্তত ২০টি বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ভিড় করতে থাকেন সেখানে। খবর যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। যোগাযোগ করা হয় তিস্তা ক্যানালের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের সঙ্গে। অবশেষে মেন ক্যানালের মুখের লক গেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। জানা গেছে সেচ দপ্তর এই সাব ক্যানালের জল দিয়ে এসময় বোরো ধানের চাষ সহ বিভিন্ন ফসলের জল দেওয়া হচ্ছিল। গাজলডোবায় তিস্তা নদী দিয়ে মেন ক্যানাল হয়ে জল সাব ক্যানালে ঢোকে। সেই ক্যানালের জটিয়াকালী ছাট প্রধান পাড়ায় এই বিপর্যয়। স্থানীয়রা জানান, বাঁধের মাটি নরম হয়ে যাওয়ার কারণে এই হাল।
ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা রুস্তম আলম বলেন, বহুদিন থেকে ক্যানাল সংস্কার করা হয় না। পাকা স্লাবগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্যানালের তলদেশে মাটি জমে উঁচু হয়ে আছে। যদিও সেচ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পাহাড়ের বৃষ্টি কারণে নদীতে কিছুটা জল বেড়েছে। তাই জলের চাপ বেড়েই সম্ভবত এই সমস্যা হয়েছে। ঘটনার সময় বাসিন্দারা বেশিরভাগ বাড়িতে ছিলেন। তাদের একজন মমতা বেগম বলেন, ক্যানাল পাড়ের একটি স্লাব ভাঙে। জলের চাপে আরেকটি স্লাব ভেঙে জল ঢুকে পড়ে গ্রামে।
স্থানীয়রা বালি মাটির বস্তা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা কলেও লাভ হয়নি। বেশি রাতে বাঁধ ভাঙতে আরও ক্ষতি হতে পারতো। এনিয়ে ফুলবাড়ি–২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় বলেন, ঘটনাটি জানতে পারি। জল গ্রামে ঢুকে কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যানালের গেট বন্ধ করে জল বন্ধ আটকানো হয়েছে। সেচ দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।