কাল উত্তরবঙ্গ উৎসব শুরু হচ্ছে শিবমন্দিরে হচ্ছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

গিরিশ মজুমদার: শিলিগুড়ি, ১৯ জানুয়ারি: কাসোমবার শুরু হচ্ছে উত্তরবঙ্গ উৎসব। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাতে একই দিনে উৎসব শুরু হবে। তবে মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন হবে শিলিগুড়ি থেকে। শনিবার শিলিগুড়ির শিবমন্দিরে প্রস্তাবিত ওই অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কর্তাদের পাশাপাশি শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায়। অনুষ্ঠান যাতে ভালোভাবে হয় এজন্য সকলের কাছে আবেদন রাখেন পর্যটনমন্ত্রী।
এবারের নবমতম উৎসব উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল মাল্লাগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের মাঠে। তবে পরিবর্তে উৎসব হচ্ছে শিবমন্দিরে আঠারোখাই খেলার মাঠে। সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখানেই সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা নাগাদ অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছে যাওয়ার কথা। এই মঞ্চেই উত্তরবঙ্গের ৯ গুণীজনকে দেওয়া হবে বঙ্গরত্ন। এছাড়াও উদ্বোধন, শিলান্যাস, সরকারি সহায়তা প্রদান সহ রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক কর্মসূচি। উৎসবের উদ্বোধন করে সেদিনই পাহাড়ে চলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, ২১ জানুয়ারি পাহাড়ে প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা। ২২ জানু্য়ারি পাহাড়ে এনআরসি ও সিএএ’‌র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে। সেই মিছিলে পা মেলাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলটি দার্জিলিংয়ের মোটর স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে কিছুটা পথ পরিক্রমা করবে। ২৩ জানুয়ারি প্রতিবছরের মতো এবারও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দার্জিলিংয়ের ম্যালে অনুষ্ঠান রয়েছ। এই অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ২৪ জানুয়ারি বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গ উৎসব ঘিরে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। শিবমন্দিরে অনুষ্ঠানস্থলে বাড়তি নজরদারি চালানোর জন্য সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে‌ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ২৩ জানুয়ারি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে এই প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতায় ৪টি বিভাগের থেকে ২০০ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। ২৬ জানুয়ারি রয়েছে ম্যারাথান ও সৌভ্রাতৃত্বমূলক দৌঁড়। এই দুটি প্রতিযোগিতা শুরু হবে শিলিগুড়ির অগ্রনী সঙ্ঘ থেকে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি এবছর মিরিকে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ উৎসব। শিলিগুড়িতে নতুন কিছু জায়গায় এবার উৎসব চলবে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রভানু মঞ্চেও দু’‌দিনের অনুষ্ঠান হবে। কাওয়াখালির বিশ্ববাংলা শিল্পী হাটেও অনুষ্ঠান রয়েছে। উৎসব শেষ ২৯ জানুয়ারি। শনিবার রাতে উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। বৈঠকে এসডিও, এসডিআইসিও শিলিগুড়ি এবং জনপ্রতিনিধিরা।