করোনা মোকাবিলায় নানা ভাবনা উঠে এল বৈঠকে

শিলিগুড়ি, ৩১ মার্চ: করোনা মোকাবিলায় এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার ওই বৈঠকে হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়।তার মধ্যে যেমন ছিলেন জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, নার্সিং স্টাফ, নিরাপত্তাকর্মী, সাফাই কর্মী এবং বিভিন্ন বিভাগের ডিনরা। তাদেরকে নিয়েই এই কঠিন লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কঠিন সময় আমাদেরকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। ছোটখাটো বিভ্রান্তি থাকতেই পারে। সকলের কাউন্সিলিং করা হবে। তবে এখন আমরা সবটাই শনাক্ত করে রাজ্য সরকারকে জানাচ্ছি। বসে থাকা নয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মাঠে নেমে লড়াই করছেন। আমাদেরকে লড়াইয়ে ঝাঁপাতে হবে।তাই করোনা রোগীদের জন্য আরো ওয়ার্ড খোলার বিষয় উঠে আসে। ইতিমধ্যে ঠিক হয়েছে আইসোলেশনের ১৫ টি বেডের জায়গায় আরো কিছু বাড়বে। ৩০ থেকে ৩৫ টি ভেন্টিলেটরকে এজন্য কাজে লাগানো হবে। জায়গা খোঁজা হয়েছে। ট্রমা কেয়ার সেন্টার এবং কোভিড ক্লিনিকের কাছে। তিনটি ভাগে ভাগ করে পরবর্তীতে আক্রান্ত না এলে তাদের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রাখা হবে।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন ভাইরাল ল্যাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এটা চলবে। গ্রামীণ এলাকাতেও আমরা জরুরী ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে ফাঁসিদেওয়ার আইটি আই কলেজে কোয়ারেন্টিন সেন্টার খোলার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে আধিকারিকরা গিয়েছিলেন।শুধু শহর নয় আমরা উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক প্রস্তুত হচ্ছি।বকরণা মোকাবেলায় এদিকে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা মেডিক্যালে কাজ বন্ধ রাখেন। তাদের বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী। তাদেরকে কাজে আসার কথা বলেন। আমরা মনে করি সবাই কাজ করবেন। নিরাপত্তার সামগ্রী তাদের জন্যও আসবে। উল্লেখ্য মেডিক্যালে ভর্তি এক মহিলার করোনার মৃত্যু হয়।কালিম্পংয়ের ওই মহিলার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের এবং আরও ৩০ থেকে ৪০ জন যারা সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। পাশাপাশি মেডিক্যালেও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ইমারজেন্সি ওয়ার্ডগুলো জীবাণু মুক্ত করার কাজ শুরু হল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে দমকলের কর্মীরা।