চোপড়া, ২৭ আগস্ট: স্ত্রীকে খুন করে ডোবায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার জাগিরবস্তি এলাকার ঘটনা। মৃতার নাম তরুনা খাতুন, বয়স ২৫ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালাগছ এলাকার তরুনার সঙ্গে চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগির বস্তির ফরিদ হুসেনের বিয়ে হয়। বছর তিনেক আগে তাদের একটি মেয়ে হওয়ার পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। বিবাদের বিষয় নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশিও হয়েছিল। অভিযোগ জানানো হয়েছিল চোপড়া থানাতেও।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে ওই গৃহবধূ নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে জাগির বস্তিতে ফরিদ হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবায় মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন এবং চোপড়া থানাকে। পুলিশ গিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনার শোনা মাত্রই মেয়ের পরিবারের লোকজনেরা চোপড়া থানায় এসে অভিযুক্ত ফরিদ হোসেনের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তরুনা বর্তমানে দু মাসের গর্ভবতী ছিল বলে বাপের বাড়ির লোক জানিয়েছেন। কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই স্ত্রীকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তরুণ বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।