Home বিদেশ-প্রবাস এবার সিল করে দেওয়া হল বাংলাদেশ সীমান্তও

এবার সিল করে দেওয়া হল বাংলাদেশ সীমান্তও

শিলিগুড়ি ও ঢাকা, ১৬ মার্চ: এর আগে ভারতের দিক থেকে সীমান্ত বন্ধ করা হয়। এবার বাংলাদেশের দিক থেকে বন্ধ করা হল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত যেমন নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। একইভাবে আমরাও নিরাপত্তার কথা ভেবে সীমান্ত বন্ধ করলাম।এবার বাংলাদেশের ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হল। অর্থাৎ ভারত থেকে বাংলাদেশেও এই পরিস্থিতিতে কেউ আসতে পারবেন না।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ এবার। গত শুক্রবার থেকে করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়ায় সেই কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার ভিসা বন্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে তা জানিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভিসা নিয়ে রাখা যাত্রীরা ভারতে আসতে পেরেছেন। এরপর সীমান্ত সিল করা হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের থেকে কোনও পর্যটক ১৫ এপ্রিলের আগে ভারতে আসতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশে গিয়ে যে সমস্ত ভারতীয় আটকে রয়েছেন তারা ফিরতে পারবেন।
শুধু কূটনৈতিক, অফিসিয়াল, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের বিশেষ ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে দুই দেশেই ছাড় রয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবেন। দিল্লির ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন থেকেও সীমান্তের অভিবাসনকেন্দ্রগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্তেও নির্দেশিকা মতে কার্যকরি শুরু হয়ে গেছে। একইভাবে নির্দেশিকাতে উত্তরবঙ্গের আরও তিনটি সীমান্ত অভিবাসনকেন্দ্র কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা- বুড়িমারী, মালদার মহেদিপুর, বালুরঘাটের হিলিতেও রয়েছে। এছাড়া বসিরহাটের গোজাডাঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রোপোল-বেনাপোল ও নদীয়ার গেঁদেতেও এই নির্দেশিকা।
ভারতের উত্তরবঙ্গের আরও দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ ও নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে চেকপোস্ট রয়েছে। ইতিমধ্যে জয়গাঁ দিয়ে ভুটানে বিদেশি নাগরকিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নেপালেও শুক্রবার থেকে আবার সেদেশের সরকারে ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে। ফলে উত্তরবঙ্গের ৭টি আন্তার্জাতিক সীমান্তে একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী ও পর্যটক যাতায়াত করতেন। এখন বাংলাদেশ থেকে আসা বন্ধ হয়ে গেল। এদিকে চিকিৎসা, ঘুরতে কিংবা বেড়াতে আসা পর্যটকরা দেশে ফিরে যেতে তৎপর হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ভারতে থেকেও বাংলাদেশেও কম যাচ্ছেন যাত্রীরা। এখানে বাণিজ্য নিয়ে কোনও নির্দেশিকা না আসায় তা চলছে। তবে যে কোনও মুহর্তে নির্দেশিকা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।
দক্ষিন দিনাজপুরের বালুরঘাটের চিত্র একই বিদেশ মন্ত্রকের নির্দেশে এদিন সকাল থেকেই বাংলাদেশে যাবার জন্য উপচে পড়ে ভিড়। এই অচলাবস্থায় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে রপ্তানীর জন্য অপেক্ষা করছে। দুশ্চিন্তায় রয়েছে এক্সপোর্টার্স সংগঠনও। এই নিষেধাজ্ঞায় যাত্রী পরিবহণে এবং মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায় যথেষ্ট ক্ষতি হবে বলে দাবি। পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিধিনিষেধ।

©‌‌গিরিশ মজুমদার