এইচ এন প্রতিবেদন; এখনই যা মশার উৎপাত তাতে আগামী কয়েকমাস মশা নিয়ে উদ্বেগে থাকতে হবে। মশা সবচে বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠবে।
এখন দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হয়। সন্ধ্যা হলে উৎপাত কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে। এই উৎপাত কমবেশি ১২ মাসই থাকে। কিন্তু অনেকে বলছেন, এবারের মতো এত মশা গত পাঁচ বছর দেখি নাই। কয়েল, লিকুইড, ক্রিম ব্যবহার—কোনো কিছুতেই কাজ হয় না। মাঝেমধ্যে এসে মশা মারা ধোঁয়া, ওষুধ দিয়ে যায়। কিন্তু আগের মতো মশা কমে না।
গ্রাম থেকে শহরের বস্তি ও অভিজাত এলাকা—সব জায়গায় মশার যেন রাজত্ব।
এই পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ নিয়ে যেমন শঙ্কা বেড়েছে। তেমনি প্রশ্ন উঠেছে মশা নিধন কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে। নিকাশি নালা বহু যায়গা পরিষ্কার করা হয় না। জমে রয়েছে বহু বছরের নোংরা আবর্জনা জল। তাই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মার্চের পর থেকে মশার ঘনত্ব চার-পাঁচ গুণ বাড়বে।
প্রতিবছর সাধারণত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে মশার উপদ্রব বাড়ে। এ মৌসুমে মশা বেড়েছে নভেম্বরের শুরু থেকে। অন্য সময়ের তুলনায় এ বছর মশার লার্ভার ঘনত্ব বেড়েছে বলেই উড়ন্ত মশার ঘনত্ব বেড়েছে। স্বভাব, ঘনত্ব, প্রজনন ও পরিবেশের সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক নিয়ে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, মার্চের পর মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছবে।
ড্রেন, ডোবা, নালা, খাল-বিল এগুলো হলো মশার আবাসস্থল। এরই মধ্যে শহরে অনেক জায়গা পরিষ্কার হচ্ছে। তবে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা হয়, ড্রেনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণেই মশা বেশি।