মালদা, ১২ মার্চ: বড় মেয়ে উত্তর দিয়েছে ৮ টি ও ছোট মেয়ে উত্তর দিয়েছে ১৬ টি।
এসএসসি গ্রুপ সি-তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের তালিকায় এবার তৃনমূলের প্রাক্তন অঞ্চল চেয়ারম্যানের দুই মেয়ে ও জামাইয়ের নাম উঠে এল। আর এই তালিকা প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে।
জানাগেছে, এসএসসি গ্রুপ ডি’র পর এবার গ্রুপ সি-তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এই ৮৪২ জনের নামের তালিকায় নাম রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে সম্পা দাস ও মাম্মি দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের নাম।
এছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার একাধিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ সি-তে কর্মরত কর্মীদের নাম রয়েছে। এই ৮৪২ জন আর স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গেছে,মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা প্রকাশ রায়ের দুই মেয়ে মাম্পি দাস ও শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গেছে হাইকোর্টের রায়ে।
মাম্পি দাস হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলে ও শম্পা দাস হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যাশ্রমে এবং জামাই বিপ্লব দাস কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলে ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন।
এলাকায় এখনও শোনা যাচ্ছে ২৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই তৃনমূল নেতার দুই মেয়ের চাকরি হয়েছিল। সেই টাকা কাকে দিয়েছিল বা কাদের সুপারিশে হয়েছিল এই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও সমগ্র ঘটনায় কোন মন্তব্য করতে চাইনি প্রকাশ দাস বা তার পরিবারের লোকেরা। তবে কিন্তু এলাকায় একটাই আলোচনা এখন।