শিলিগুড়ি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মডিউলার কিচেন পেল শিলিগুড়ি হাসপাতাল। এখান থেকেই ৩ বেলা রোগীদের জন্য খাবার যাবে। মঙ্গলবার এই ঝা চকচকে রান্নাঘর চালু করা হল। এদিন এক অনুষ্ঠানে হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতিরি চেয়ারম্যান ডা: রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এই রান্নাঘরের দরজা খুলে দেন। ১৩ জন কুক নিয়ে পথ চলা শুরু হল হাসপাতালের সরকারি রান্নাঘরের। এরমধ্যে একজন রয়েছেন হেড কুক। বড় বড় রেস্তোরাঁেত যেভাবে রাধুনীরা থাকেন। সেভাবে এখানেও রাধুনীরা অ্যাপ্রন পড়ে রান্না থেকে খাবার পরিবেশন করবেন। থাকেবে তাদের নিজস্ব পোশাক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই রান্নাঘরের খাবার আগের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৪৩ লক্ষ টাকায় তৈরি করা হয়েছে এই মডিউলার কিচেন। আগে হাসপাতালের ভেতরে একটি রান্নাঘর ছিল। ঘিঞ্জি পরিবেশে রান্না হত। সেখান থেকেই খাবার যেত। এবার সম্পূর্ণ হাইজেনিক রান্নাঘর করা হয়েছে। এটা যে কোনও বেসরকারি উদ্যোগকে হার মানাবে। তৈরি হয়ে অনেকদিন থেকেই সেজে ছিল এই রান্নাঘর। শিলিগুড়ি হাসপাতালে আসা রোগী পরিজনের কথা ভেবে এর আগে ক্যান্টিন করা হয়েছে। রাত বিরেতে রোগী পরিজনদের খাবারের জন্য বাইরে ছুটতে হত। আবার অনেক রাতে খাবারের দোকান খোলা থাকে না। হাসপাতালের বাইরে গেলে আবার নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়। খাবারের মান নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। কোথাও ড্রেনের উপর খাবারের দোকান আবার কোথাও ফুটপাতের উপর রয়েছে। অনেক সময়ে আবার দুষ্কৃতীরাও ওঁত পেতে থাকে। মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে রোগী পরিজনদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রোগী পরিজনদেরও সেখান থেকে খাবার এনে দেওয়া হয়। তারজন্য আগেই হাসপাতালের ভেতরে ক্যান্টিন করা হয়েছে। ফলে ওই সমস্যা মিটেছে। শিলিগুড়ি হাসপাতালে ৩৬৫টি শয্যা রয়েছে। গড়ে ৩০০ জনের উপর রোগী ভর্তি থাকেন। তাদের খাবার হাসপাতালের থেকে দেওয়া হয়। এবারও এই হাইজেনিক কিচেন থেকে দেওয়া হবে। হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান ডা: রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘অনেক রোগী হাসপাতালের খাবার খেতে চান না। সেই কথা ভেবেই ৪৩ লক্ষ টাকায় পুরোপুরি হাইজেনিক কিচেন করা হল। ঝা চকচকে রান্নাঘর। পরিচ্ছন্ন কাজকর্ম। আর সেখানেই পাওয়া যাবে নামী রেস্তোরাঁর পরিবেশনে খাবার। এই কিচেনের তদারকি করবেন হাসপাতালে সহকারি সুপার ও ডেপুটি নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট। পাহাড় সমতলে এই প্রথম শিলিগুড়ি হাসপাতালের এমন রান্নাঘর পেল।’
©গিরিশ মজুমদার