রাজগঞ্জ, ৭ এপ্রিল: চিকিৎসা করাতে দক্ষিণ ভারতে গিয়ে এক মাস থেকে আটকে আছে রাজগঞ্জের এক অসহায় যুবক। তার নাম পলাশ শীল (৩০)। সঙ্গে কেউ না থাকায় হাসপাতালের বন্ডসই হচ্ছে না। তাই অপারেশনও করছেন না চিকিৎসকরা। অগত্যা হোটেলের ঘরে শয্যাশায়ী ওই যুবক। এদিকে যুবকের মা সহ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন যাতে একটা ব্যবস্থা করা হয়।
রাজগঞ্জের সেল্টারবাড়ি গ্রামের যুবক পলাশ শীল সেলুনে কাজ করেন। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ছাড়াও স্ত্রী ও চার বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। অভাবের সংসার। তার মা শান্তিবালা বলেন, কয়েক মাস আগে তার ছেলের ডান পা ফুলে যায়। কিছুদিন চিকিৎসা করানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় গত ৭ মার্চ দুইজন আত্মীয় সহ দক্ষিণ ভারতে পাঠানো হয়। সেখানে পায়ের অপারেশনের জন্য ৩ লক্ষ টাকা লাগবে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। কিন্তু তাদের কাছে অত টাকা না থাকায় দুই আত্মীয় টাকা জোগাড় করতে বাড়িতে চলে আসেন। ওই যুবককে রেখে আসেন এক হোটেলে। এদিকে গত ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় পরিবারের কোনো সদস্য সেখানে যেতে পারেনি। মাঝে অপারেশনের জন্য দুইবার তারিখ ঠিক হলেও বন্ডসই করার জন্য কোনো অভিভাবক না থাকায় অপারেশনও হয়নি। ফলে বিনা চিকিৎসায় হোটেলের ঘরে আটকে আছে ওই যুবক। প্রায় এক মাস থেকে কার্যত বিনা চিকিৎসায় হোটেলে আটকে থাকার পাশাপাশি বাড়িতে ফিরতে না পারায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ওই যুবক। তাই সরকারের কাছে একটা সুব্যবস্থা আর্জি জানিয়েছেন ওই যুবক এবং তার পরিবারের সদস্যরা।