কোচবিহার, ২৩ মার্চ: এখনও রয়েছে সিধল চোর। সিঁধ কেটে বাড়িতে ঢুকে সাবার করে দেয় সব।
বাড়ির লোক কিছুই টের পান না। ঘুমন্ত অবস্থাতেই বাড়ির জিনিস নিয়ে যায় এই চোরেরা।
এবার কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের কুশিয়ার বাড়িতে ৬ বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরের ভেতরে ঢোকে চোর। এক রাতেই এতগুলো বাড়িতে সিঁধ করে।
তবে তেমন কিছু চুরি করতে পারেনি। চুরি না গেলেও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশিয়ারবাড়ি পঞ্চানন পল্লী গ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আশ্চর্যের বিষয় ঘরের ভেতরে ঢুকলেও তেমন কারও কিছু নেয় নি চোর। বেছে বেছে যে ঘর গুলিতে ছোট শিশু থাকে সেই ঘর গুলিতেই ঢুকেছে চোর, তবে কি শিশু চুরি করতেই আসছিল চোর? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
নিরঞ্জন বর্মন নামে স্থানীয় বাসিন্দা কর্ম সূত্রে ভিন দেশে কাজ করেন। তার স্ত্রী পুত্র সন্তান সহ একটি ঘরে থাকেন আর সেই ঘরে ঢুকে চোর। ঘরের আলো জ্বালানো থাকায় রাত প্রায় ২টা নাগাদ আচমকা ঘরের ভেতর একজনকে মশারির ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিতে দেখেন নিরঞ্জনের স্ত্রী। চিৎকার শুরু করলে চোর পালিয়ে যায়। বুধবার সকাল হতেই পর পর বাড়ি গুলিতে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় শুরু হয় গুঞ্জন।
ঘটনার খবর পেয়ে যায় ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। গোটা ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাসিন্দারা এনিয়ে তদন্তের দাবি করছেন। বেশ আতঙ্কে বাসিন্দারা। তারা বলেন, বড় বিপদ থেকে বাঁচা গেছে। চোরদের উদ্দেশ্য কি জানা দরকার