শিলিগুড়ি, ৪ জুন: এবার মুক্ত বাতাসে বেড়ানোর স্বাদ দিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে সবার আগে দিতে চাইছে পর্যটন দপ্তর। লকডাউনে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলতে চলছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ধাপে ধাপেই পর্যটন কেন্দ্রের দরজা খোলা হবে। ইতিমধ্যে পর্যটন দপ্তর পাঁচটি সরকারি পর্যটন আবাস খুলে দিচ্ছে। আগামী ৮ জুন থেকে এর বুকিং শুরু হয়ে যাবে। সেদিন থেকে পর্যটকরা থাকতেও পারবেন। লকডাউনে ঘরের মধ্যে একঘেয়েমী কাটিয়ে এবার আনলকেও মুক্ত পরিবেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে পর্যটন দপ্তর।
পাহাড়ের কোলে সবুজ জঙ্গল ঘেরা ডুয়ার্সের টিলাবাড়ির ‘তিলোত্তমা’ কিংবা লাল মাটির দেশ বীরভূমের ‘রাঙ্গাবিতানে’ থাকতে পারবেন। বিষ্ণুপুর, মাইথন আর দিগন্ত পাড়ের ডায়মন্ড হারবারের ‘সাগরিকাতেও’ থাকতে পারবেন। বুধবার শিলিগুড়িতে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, করোনাকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। আর বসে থাকা নয়। তাই অন্যান্য সব কিছুর মতোই পর্যটন শিল্পেও দরজা খোলা হচ্ছে। তবে একসঙ্গে নয়, ধাপে ধাপে আমরা কেন্দ্রগুলো খুলব। এখন দেখা হচ্ছে যেখানে বেশি জায়গা জুড়ে লজ রয়েছে সেখানেই বুকিং নেওয়া হবে। সেভাবেই বাছাই করা হচ্ছে সরকারি পর্যটন আবাসগুলো।
পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ডুয়ার্স থেকে সুন্দরবনে একাধিক সরকারি পর্যটন আবাস রয়েছে। সারা বছরই এই লজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। বিশেষ করে পর্যটন মরসুমে একদিনের জন্য একটি রুমও ফাঁকা থাকে না। কিন্তু করোনার জেরে এই লজগুলো বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময়ে সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র শুনশান হয়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে পর্যটন শিল্প। সেই জায়গা থেকে ধীরে ধীরে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা। তাই পর্যটন দপ্তর এগিয়ে এসেছে। আগে কয়েকবার বৈঠক করা হয় এনিয়ে।
এবার লজগুলোকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানাগেছে লাটাগুড়ির ‘তিলোত্তমা’, বীরভূমের ‘রাঙ্গাবিতান’, ডায়মন্ড হারবারের ‘সাগরিকা’ এছাড়া বিষ্ণুপুর এবং মাইথনে পর্যটন দপ্তরের যে লজ রয়েছে তার বুকিং নেওয়া হবে। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলবে বুকিং। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে থাকতে চেয়ে যোগাযোগ করেছেন। তারা এতদিন ঘরে থাকার একঘেয়েমী কাটাতে চান। তাছাড়া অনেকেই পর্যটনশিল্পে জড়িত। তার জন্যই খোলা হচ্ছে। আমরা প্রতিটি লজের প্রতিটি ঘর বুকিং নেব। তবে এজন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না।’
©গিরিশ মজুমদার