ফাঁসিদেওয়া, ২২ ডিসেম্বর: আবার সেই তিন সদস্যের বাইক আরোহী ছিনতাইবাজ। এবারও বন্ধুক ঠেকিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহাকুমার বিধান নগরের সায়দাবাদ এলাকায়। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনজন বাইক আরোহী কয়েকজন দুষ্কৃতীর হাতে বন্দুক নিয়ে একটি পিকআপ ফ্যানের পিছু নেয়। গাড়িটি করে দুইজন ডাঙ্গাঘাট থেকে শিলিগুড়ি উদ্দেশ্যে মুরগি কিনতে, যাচ্ছিল। তাদের কাছে মুরগি কেনার জন্য ছিল ১লক্ষ ২৭ হাজার টাকা। দুষ্কৃতিরা গাড়ি থামাতে বললে গাড়িটি না থামাতে চলে এলোপাতাড়ি গুলি। আহত হয় গাড়ি চালক মহম্মদ তসলিমুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে। গাড়ির চালক ও খালাসি টাকার বিষয় অস্বীকার করে। চলে কথাকাটাকাটি। সুযোগ বুঝে চালক ও খালাসি একটি চা-বাগানে গা-ঢাকা দেয় এবং পরে একটি পেট্রোল পাম্পে চলে যায়। কিন্তু ততক্ষনে দুষ্কৃতীরা সমস্ত টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পেট্রোল পাম্পে গিয়ে তারা সব বিষয় জানাবার পর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিধান নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছ। চালককে পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে সেই তিন দুষ্কৃতী বাইক করে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ফাঁসিদেওয়া এলাকায় পরপর কয়েকটি একই পদ্ধতিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমত বন্ধন ব্যাংকের টাকা ছিনতাই। চটহাটে আর একজনের টাকা ছিনতাই। ফুলবারি ঘোষপুকুর বাইপাস এক বেকারির টাকা ছিনতাই। সবগুলোই ছিল একটি বাইকে তিন সদস্য। তারা বন্দুক নিয়ে এসে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছিনতাই করে। একইভাবে বন্দুক থেকে ছিনতাই চলে। বারবার অভিযোগ জানানোর পরও দুষ্কৃতীদের কোনো খোঁজই করতে পারেনি পুলিশ। এতগুলো ছিনতাইয়ের ঘটনায় মিল থাকলেও অভিযোগ উঠছে কেন পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। এতদিন ছিনতাই করে যাচ্ছে। তারপর গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার কি করে পুলিশ সেই দিকে তাকিয়ে সবাই।