মালদা, ২৭ ফেব্রুয়ারী: মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীতে। পড়ে। সেই নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত তার নাবালক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় যাওয়ার পথে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। শেষে গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের একটি স্টেশনে জিআরপির কাছে ধরা পড়ে প্রেমিক যুগল। নাবালিকাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় জিআরপি। নাবালিকা পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় থানায় গ্রেফতার নাবালক প্রেমিক।
যদিও প্রেমিকের দাবি তারা একে অপরের সঙ্গে এক বছর ধরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িত। কিন্তু নাবালিকা মায়ের অভিযোগ তাদের মধ্যে কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। ছেলেটি অপহরণ করে নিয়ে গেছিল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের ঘটনা। জানাজায়, স্থানীয় দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত এক নাবালক যুবকের সঙ্গে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত এক নাবালিকার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল এক বছর ধরে। নাবালক প্রেমিকের দাবি গতকাল তারা দুজনে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
কিন্তু নাবালিকা প্রেমিকার বাড়ির দাবি তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক কোন দিন ছিল না। বিদ্যালয় যাওয়ার পথে তাদের নাবালিকা মেয়েকে বাইকে করে জোর করে তুলে নিয়ে গেছিল। পরবর্তীতে মেয়ের বাড়ি ছেলের বাড়ি কে সমগ্র ঘটনা জানায়। ছেলের বাড়ি আশ্বাস দেয় তারা কিছু ক্ষণের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে আসবে। যদিও তারপরে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের একটা স্টেশনে রাত বারোটা নাগাদ জিআরপি তাদের আটকায়।
সেখানেই নাবালক ছেলেটির মাসির বাড়ি ছিল বলে জানা গেছে। নাবালিকা মেয়ের বাড়ি অভিযোগ ট্রেনে করে তাদের মেয়েকে পাঞ্জাব নিয়ে চলে যাওয়া হত। জিআরপি দুই বাড়ির অভিভাবকের খবর দিয়ে ছেলে মেয়েদের তাদের হাতে তুলে দেয়। যদিও নাবালিকা মেয়ের মা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নাবালক ছেলেটির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালক ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
নাবালিকার মা বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবেশী হিসেবে শুধু ছেলেটিকে চিনতো। কোন রকম প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গতকাল আমার মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। মাঝ রাস্তায় ছেলেটি বাইকে করে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঝাড়খন্ডে তার মাসির বাড়ি যায়। জিআরপি না ধরতে পারলে ট্রেনে করে আমার মেয়েকে পাঞ্জাব নিয়ে চলে যেত।
যদিও অভিযুক্ত নাবালক প্রেমিক বলে, আমাদের মধ্যে এক বছর ধরে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। আমি ওকে অপহরণ করিনি। দুজনের সহমতেই বিয়ের জন্য আমরা গেছিলাম।
আইন অনুযায়ী ছেলে এবং মেয়ে দুইজনেই বিবাহযোগ্য নয়। সে ক্ষেত্রে যদি প্রেমের সম্পর্কের কারণে তারা দুইজনে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় তবে অভিভাবকদের তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এলাকাবাসীর দাবি পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করুক। যদি প্রেমের সম্পর্কের কারণেই তারা বাড়ি থেকে গেছিলো তবে অপহরণের অভিযোগে যাতে একজন নাবালক ছাত্রের জীবন নষ্ট না হয়। পুলিশ তদন্ত করছে।