অভিভাবকদের চাপ দেওয়া যাবে না, বাড়তি ফি নেওয়া যাবে না

শিলিগুড়ি, ১৯ মে: সরকার নির্দেশ দিলেও অভিযোগ ছিল জোর করে ফি নেওয়ার। অনেক স্কুল ফি বাড়িয়েও দিয়েছিল। ফি বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি নির্দেশ অবশেষে মেনে নিল শিলিগুড়ির বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো। তাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে সেই বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে না। তারা রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানবে। সেইসঙ্গে সরকারকে সহযোগিতা করে অভিভাবকদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে। তাই যে সমস্ত স্কুলগুলো ইতমধ্যে ফি বাড়িয়েছে তা কমিয়ে দেবে। এবং যারা অতিরিক্ত ফি ইতিমধ্যে নিয়েছিল তারও ফেরত দেবে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ওই স্কুলগুলো। ওয়েস্ট বেঙ্গল সিবিএসই স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় শাহ বলেন, আমরা কোনও অভিভাবকদের চাপ দিয়ে দেব না। সবাই আমাদের পরিবারের মতই। তবে কয়েকটি বিষয়ে আমরাও রাজ্যকে আবেদন করেছি। এই মুহূর্তে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না এবং ফাইন নেওয়া হবে না। বাসের ব্যাপারটি চালক খালাসিদের কথা ভেবেই নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা দরকার।

মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ফি বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ছাড়াও ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, শিক্ষা দপ্তর, প্রাইমারি কাউন্সিল, জেলা ও মহকুমা প্রশাসন এবং বেসরকারি স্কুলগুলোর প্রতিনিধিরা। শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকার সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের ৫৫ টি স্কুলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তারা এখানে তাদের মতামত দেন। তবে সবার আগে পর্যটনমন্ত্রী রাজ্য সরকারের নির্দেশের কথা স্কুলগুলোকে স্পষ্ট করে দেন। সেই সঙ্গে আবেদন রাখেন, যাতে কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুলের পরিবেশ অশান্ত হয়ে না ওঠে। একই আবেদন অভিভাবকদের কাছেও রাখেন মন্ত্রী। জানাগেছে শিলিগুড়ির কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে ফ্রি বৃদ্ধি করে। সেইসঙ্গে মাসের বেতন প্রদান নিয়ে জরিমানা করা হয়। অনেক অভিভাবক এখন ফি দিতে না পারায় তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করারও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে এই বৈঠকে বসেন পর্যটনমন্ত্রী।
সেখানে সহানুভূতি দিয়ে বিষয়টি দেখার পাশাপাশি রাজ্যের নির্দেশের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়। এই মুহূর্তে কাউকে চাপ দেওয়া হবেনা এবং ফি বাড়ানো হবে না। আগে যে হারে ফি নেওয়া হতো। ঠিক একই হারে এখন ফি দিতে হবে। তবে বাস ভাড়ার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে গেছে। বাস ভাড়া বিষয়টি নিয়ে অনেক অভিভাবক বলেছেন, ঘরে বসে ক্লাস হচ্ছে। বাসের প্রয়োজন পড়ছে না। তারপরও বাস ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, এই বাসের রক্ষণাবেক্ষণ, চালক খালাসিদের বেতন এবং অন্যান্য কারণেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তবে বিষয়টিও বিবেচনায় সঙ্গে দেখতে হবে বলে জানান পর্যটনমন্ত্রী। তবে এনিয়ে  পর্যটনমন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আবেদন রেখেছিলেন। স্কুলগুলি এখন তা মেনে নিয়েছে।