জামালদহ, ১৬ ডিসেম্বর: অভাবের সঙ্গে লড়াই করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরীক্ষায় সফল দুই বোন। একজন বিএসএফ এবং অন্যজন সিআইএসএফ কনস্টেবল পদে সফল হয়েছে। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দ্বারিকামারি গ্রামের দুই বোন জবা রায় ও সাগরিকা রায়ের এই সাফল্যে এলাকায় খুশির হাওয়া বইছে। সদ্য প্রকাশিত হওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের স্টাফ সিলেকশন কমিশনের জিডি কনস্টেবল পরীক্ষায় একসঙ্গে পাশ করে তাক লাগালেন হতদরিদ্র পরিবারের দুই মেয়ে। জামালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দ্বারিকামারি গ্রামের দুই বোন জবা রায় ও সাগরিকা রায়। দুই বোনের একজন বিএসএফ ও অন্যজন সিআইএসএফ-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।জানা গিয়েছে, জবা ও সাগরিকার বাবা গোবিন্দ রায় এবং মা অঞ্জলি রায় দুজনেই শ্রমিক। পরিবার রয়েছে আরও এক মেয়ে। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। তিন মেয়েকে নিয়ে টিনের একটি বাড়িতে কোনওরকমে বাস করেন তারা। মেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগাতে অন্যের জমিতে কাজ মা অঞ্জলি রায়। তিন বোনের মধ্যে জবা বড় ও সাগরিকা মেজো। জবা বিএ পাশ করলেও সাগরিকা মাথাভাঙ্গা কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও লড়াই করে উচ্চমাধ্যমিকে জামালদহ তুলসীদেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছিলেন সাগরিকা।কিন্তু পরিবারের কাছে কলেজে ভর্তি করানোর মতো টাকা ছিল না। সেই সময় মাথাভাঙ্গার প্রাক্তন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা সারিকাকে কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দুই বোনের একসঙ্গে চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার কথা জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে এলাকায়। দুই বোনের এই সাফল্যের প্রসঙ্গে তারা বলেন, বাবা-মা আমার সবথেকে বড় শক্তি। আমাদের জন্য প্রচুর কষ্ট করেছেন। পাশাপাশি এই সাফল্যের পেছনে তাঁর স্যারের অবদানের কথাও জানান তারা। অন্যদিকে, দুই কৃতী বোনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত জামালদহ তুলসীদেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ প্রতিবেশীরা।