Home রাজ্য উত্তরবঙ্গ অবৈধ সম্পর্কের জের, প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যা করে প্রেমিক

অবৈধ সম্পর্কের জের, প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যা করে প্রেমিক

রাজগঞ্জ, ১৫ নভেম্বর: প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যা করে প্রেমিক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চতুরাগছ খাটাল বস্তিতে। মৃত মহিলার নাম রিয়া বিশ্বাস ( ২৮ )। মৃত যুবকের নাম কিরণ দেবনাথ ( ২৫ )। আত্মহত্যা করার আগে প্রেমিকাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হেডলাইন নিউজ – শিলিগুড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি ( Siliguri ) শহর সংলগ্ন খাটাল বস্তির ওই বাড়িতে অমিও বিশ্বাস ( ৩২ ) তার স্ত্রী রিয়া ও তাদের পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকেন। অমিওর স্ত্রী রিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী কিরণ দেবনাথের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক মাস আগে প্রেমিক প্রেমিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও ফের ফিরে আসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়। কালীপুজোর পর নদিয়া থেকে অমিওর ভাই এই বাড়িতে আসেন। রবিবার মাকে আনার কথা বলে দুই ভাই নদীয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। স্ত্রী ও শিশুপুত্র বাড়িতেই থেকে যায়। মঙ্গলবার ভোর তিনটা নাগাদ মাকে দেখতে না পেয়ে শিশুটি কান্না শুরু করে। শিশুটির কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। প্রতিবেশীরা খুঁজতে গিয়ে দেখেন বাড়ির শৌচালয়ের মধ্যে ওই মহিলার গলার নলী কাটা দেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার ওসি পার্থসারথি দাস, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( পূর্ব ) সুভেন্দ্র কুমার ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে কিরণের ফেসবুকে একটি ভিডিও অনেকের নজরে পড়ে। ওই যুবক ভিডিওতে খুনের কথা স্বীকার করে। ইতিমধ্যে রেললাইন থেকে উদ্ধার করে নিউ জলপাইগুড়ি রেল পুলিশ। ট্রেনের সামনে ঝাপ দিয়ে যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের পাথমিক অনুমান। প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবার ওই দুজনের অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় বলেন, দুটো ঘটনাই খুবই দুঃখজনক। ওই মহিলার সঙ্গে কিরণের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মহিলাকে খুন করার পর যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( পূর্ব ) সুভেন্দ্র কুমার বলেন, ওই দুজনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মহিলার দেহ উদ্ধারের সময় আমরা লক্ষ্য করেছি মহিলার শরীর থেকে অলংকার এবং বাড়ি থেকে কোনও জিনিস চুরি হয়নি। তাই প্রথমেই ধরে নিয়েছিলাম মহিলাকে খুন করাই উদ্দেশ্য ছিল। পরে কিরণের ফেসবুক লাইফ দেখে ঘটনা পরিষ্কার হয়ে গেল। যুবক খুন করার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।