মালদা, ১২ আগস্ট: অন্যের ঘরের ছাদের জল পড়ে ভেঙ্গে গিয়েছে ঘর। তিনদিন থেকে তাঁবুর নিচে দিন কাটছে দিনমজুর দম্পতির। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বা জনপ্রতিনিধিদের দেখা নেই বলে অভিযোগ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াডাঙ্গি গ্রামের ঘটনা। অসহায় দম্পতি বলরাম দাস (৫৫) ও তার স্ত্রী পুষ্প দাস (৪৫) দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, তাদের কাঁচা বাড়ির দেওয়াল লাগোয়া রয়েছে তৃনমূল নেতা ইন্দ্রমোহন দাস ওরফে বাঙ্কা দাসের পাঁকা বাড়ি। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সেই তৃনমূল নেতার ছাঁদের জল সরাসরি তাদের কাঁচা বাড়ির দেওয়ালে পড়ছে। বারণ করতে গেলে পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি ওই তৃনমূল নেতা বেশ কয়েকবার দলবল নিয়ে বাড়িতে এসে পরিবারের লোকেদের মারধর করেছে । পুলিশের হুমকিও দেওয়া হয়। ভয়ে কোথাও অভিযোগ জানাতে পারেননি। সোমবার রাত একটা নাগাদ অতি বর্ষনে ওই তৃনমূল নেতার বাড়ির ছাদের জল পড়ে দিনমজুর বলরাম দাসের একমাত্র জরাজীর্ণ কাঁচা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে যান তারা। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ছেলে,বৌমা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কোনোমতে তাদেরকে উদ্ধার করেন। অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান ওই দম্পতি। আহত হয়েছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। একমাত্র ঘরটি হারিয়ে কার্যত খোলা আকাশের নিচে আতঙ্কে কাটছে।
তৃনমূল নেতা বাঙ্কা দাস বলেন, তার পাকা বাড়ির ছাদের জল ওই বাড়ির টালির চালে পড়ছিল। টালির জল ছিটকে তার ঘরের দেওয়ালে পড়তো। বাঁশের খুঁটি পঁচে গিয়ে সোমবার রাতে তার ঘরটি ভেঙে পড়েছে। তবে মারধরের অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।
বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, ওই পরিবারের কাছ থেকে মৌখিকভাবে তাদের সব কথা শুনেছেন। মঙ্গলবার তাদেরকে পলিথিন ও চাল দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।সরকারি ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।।