Home রাজ্য উত্তরবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু ও প্রসূতিরা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু ও প্রসূতিরা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত

মালদা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে। রান্না ঘর না থাকায় মিলছে না শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টিকর খাবার।শনিবার রান্না না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গ্রামীণ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখন ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের অলিহোন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহব্বতপুর গ্রামে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিক্ষোভে সামিল হন। প্রশাসন ও সিডিপিও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মহিদুল ইসলামের পরিবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর ভেঙে বাঁশ ও টিন অদূরে ফেলে আসে। ভাঙচুরে গ্রামবাসীরা বাধা দিলে ওই পরিবারের মহিলা নুরবানু বেগম ও তার দুই মেয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে গ্রামাসীদের দিকে তেড়ে আসে বলে অভিযোগ। যে সরকারি জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি নুরবানু বেগমের বাড়ির মূল ফটকের জায়গা। সরকারি জায়গা থাকলেও নুরবানু সেই জায়গায় রান্না ঘর করতে না দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। এদিন নুরবানু বেগম সহ তার দুই মেয়ে আসমা ও রেশমা রান্ন ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে পড়ে।
গ্রামের এক বাসিন্দা মাবুদ আলমের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না ঘর রাখতে দিবেনা মহিদুল ইসলামের পরিবার। এদিন সন্ধ্যায় মহিদুলের স্ত্রী নুরবানু বেগম ও তার দুই মেয়ে রান্না ঘরে ভাঙচুর চালায়। বাঁশ ও টিন খুলে বাগানে ফেলে আসে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া ও ধারালো অস্ত্র তেড়ে আসে। নুরবানু বেগম ও তার দুই মেয়ে। এমনকি শনিবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রান্না করতে গেলে তাকে হাঁসুয়া দেখিয়ে শাসানো হয়। ভয় দেখিয়ে শিশুদেরও তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী চন্দনা দাস বলেন, মহব্বতপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না ঘর। কিন্তু প্রতিবেশী মহিদুর ইসলাম সেই রান্না ঘরটি ভেঙে ফেলেন। রান্না ঘর না থাকায় শিশু ও প্রসূতিরা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না।আমি রান্না করতে গেলে মারার জন্য উদ্যত হচ্ছে মহিদুরের স্ত্রী ও দুই মেয়ে। ভয়ে সেন্টারে আসছেনা শিশুরা।
চাঁচল-১ নং ব্লকের সিডিপিও অলোক মণ্ডল জানিয়েছেন, যারা রান্না ঘর ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি বিডিওকেও জানানো হয়েছে।
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে চলে যায়। আমরা চাই এটার সুষ্ঠু সমাধান হোক।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।
ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে মহিদুরের স্ত্রী নুরবানু বেগম জানান, আমার বাড়ির সামনে দোকান রয়েছে। দোকানের সামনে জোরপূর্বক রান্না ঘর করেছে। ফলে দোকান বন্ধ রয়েছে।দোকান বন্ধ থাকলে আমরা চলব কি করে। কাউকে মারধর করিনি বলে তিনি দাবি করেন।